মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
৫৭৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান এক কক্ষে, স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৪৩ PM
বিজয়নগরে ৫৭৩ জন কমল শিক্ষার্থীর পাঠদান এক কক্ষে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে সকল শিক্ষার্থীরা সহ শিক্ষকরাও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজনগর উপজেলা চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাওঁ গ্রামে অবস্থিত মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি কক্ষে ৫৭৩ জন শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক ভাবে পাঠদান চলমান। 
সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসহ শিক্ষা মানের ঝুঁকিতে ভুগছে শিক্ষার্থীরা। তবে অবসর সময় পার করতে হচ্ছে ৮জন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

জানাযায়, সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে সুশৃংখল পাঠদানে ভূমিকা রেখে আসছেন। এখন পুনরায় নতুন ভবন করার কার্যক্রম চলছে বিধায়।শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। 

গত ১৮ই এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে উক্ত বিদ্যালয়ের ৫কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন ভবন সরকারি ভাবে নিলামে বিক্রয় হলে, গত জুন মাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিকল্প কোন ব্যবস্থা ছাড়াই ভেঙ্গে দেওয়া হয়। 

বর্তমানে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তনের একাংশে বঙ্গবন্ধু ভবনের ২০x৩১ ফিট একটি কক্ষে সকাল ৯টা হইতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর মোট ৫৭৩জন শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে। 

এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের শিশু সংখ্যা ৬৬জন ও প্রথম শ্রেণীর ১২৮জন মিলে মোট ১৯৪জন শিশু ঐ কক্ষে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পাঠদান দেওয়া হয়। 

২য় শ্রেণির মোট ১১৭ জন শিক্ষার্থী সকাল ১০টা হইতে ১১টা পর্যন্ত, এমনই ধারাবাহিকতায় ৩য় শ্রেণীর ৭৩জন শিক্ষার্থী সকাল ১১টা হইতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, ৪র্থ শ্রেণীর ৮২জন শিক্ষার্থী দুপুর ১২:৩০মিনিট হইতে বিকাল ১:৩০মিনিট ও ৫ম শ্রেণীর ১০৭জন শিক্ষার্থীর ক্লাস বিকাল ২টা হইতে ৪টায় সমাপ্ত করা হয়। 
বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায় যে,মোট ৯জন শিক্ষককে  ধারাবাহিকভাবে প্রতি ঘন্টায় একজন শিক্ষক পাঠদান করেন, অন্য শিক্ষকরা অবসরে সময় কাটাতে হচ্ছে নিয়মিত ভাবে। 

এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের  
অভিভাবকের অভিমত বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক অবস্থার চলছে  যদি ৫৭৩জন শিশুর পাঠদান এমন একটি অস্বাভাবিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কক্ষে পাঠদান করা হয়, তাহলে শিশুরা কি শিখবে এমনকি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কায় সম্ভবনা বেশী । তাই পাঠদানের বিকল্প সুব্যবস্থা করার বিশেষ আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে বিজয়নগর  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বর্ণ জিৎ দেব বলেন, বিষয়টা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ইমারজেন্সি ফান্ড থেকে একটা ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি, তবে এখনো কার্যকরী হযনি।তবে আমি  আশা করি দ্রুত একটা ব্যবস্থা হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত