শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক আরও ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিক শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এবং ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার বিচারাধীন পলাতক হাজতী নং-৬৩৫/২৪, বিক্রম বিষু (৪৫), পিতা- মৃত ইন্তাজ আলী, ও হাজতী নং-৬৭০/২৪, রুবেল মিয়া (৩৬), পিতা- জামশেদ আলী, এবং মাদক মামলার বিচারাধীন পলাতক হাজতী নং-৫৩২/২৪, আমিনুল ইসলাম(৩০), পিতা-খোরশেদ আলী, সকলের সাং-খরমপুর, থানা-শেরপুর সদর, জেলা-শেরপুর‘দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। ধৃত হাজতী বিক্রম বিষু(৪৫) ও রুবেল মিয়া(৩৬) শেরপুর জেলার সদর থানার মামলা নং-১৭, তাং-১০/০৩/২০২৪খ্রি., ধারা -৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড, জিআর নং- ১২৩/২৪, এবং ধৃত হাজতী আমিনুল ইসলাম(৩০) শেরপুর জেলার সদর থানার মামলা নং ৬৭, তাং-২৭/০৯/২০২০খ্রি., ধারা -৩৬(১) সারণির ৮(খ), জিআর নং- ৬৮৭/২০, দায়রা-২৭/২১ মামলার পলাতক হাজতী।
গ্রেফতারকৃত হাজতীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনার দিন তারা অন্যান্য হাজতী ও কয়েদীদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান এবং শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন। পরে ধৃত হাজতীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শেরপুর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৫ আগস্ট ২০২৪খ্রি. তারিখ বিকাল অনুমান ৪ ঘটিকার সময় শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুস্কৃতিকারী আক্রমন করে বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনপূর্বক বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫ শতাধিক হাজতী ও কয়েদীকে পলায়ন করতে সহায়তা করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি শেরপুর জেল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক সরবরাহকৃত পলাতক হাজতী ও কয়েদীদের তালিকা সংগ্রহ করে উক্ত হাজতী কয়েদীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে।