ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শহীদ সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্থফা কামালের নামে একটি খেলার মাঠের নামকরণ করার দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে আপাতত পরিত্যক্ত হিসেবে থাকা ওই জায়গাটি রেলওয়ে যেন খেলার মাঠের জন্য বরাদ্দ দেয় সেই দাবিও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন এলাকায় অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের স্মৃতিসৌধের পাশে হওয়া মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় জানানো হয়, স্মৃতি ধরে রাখতে মোস্তফা কামালের নামেই তারা মাঠের নামকরণ করতে চান।
প্রথমে সকাল ১১টার দিকে দাবিকৃত জায়গাতেই হওয়া সংবাদ সম্মেলনে দরুইনসহ আশেপাশের গ্রামের লোকজন অংশ নেন। পরে তারা মানববন্ধন রচনা করেন। কর্মসূচিতে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে এলাকার অনেক প্রবীণ মানুষ অংশগ্রহন করেছেন।
এ সময় অভিযোগ করা হয়, রেলওয়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় কয়েকটি গ্রামের লোকজন খেলাধুলা করে। এটিকে মাঠ হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দোবস্তের (লিজ) আবেদনও করা হয়। কিন্তু সেটি না করে ব্যক্তি নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে কিংবা হবে এমন কথা শুনা যাচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হবে।
মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য ছায়েব আলী বলেন, ‘সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্টজন হওয়ার সুবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলের আত্মীয় মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে লিজ আনার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি এখানে থাকা মাঠের নামের সাইনবোর্ডও তিনি ফেলে দেন। এখন শুনতেছি মানিক মিয়া মাঠটি দখলে নিবেন।’
মোগড়া বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘এ জায়গাটিতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখানে নিয়মিত খেলাধুলা করে। আশেপাশে কোনো মাঠ নেই। আমরা চাই এটি মাঠ হিসেবেই ব্যবহৃত হোক। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন বলে আশা করি।’
রেনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল হতে দিবো না। এলাকার মানুষ সবাই চায় এখানে মাঠ থাকুক। মাঠের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবো। আর মাঠটি যেহেতু বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের নামে হবে সেহেতু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এটাকে গুরুত্ব দিবেন বলে আশা করি।’
এ বিষয়ে মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘জায়গাটি রেলওয়ে থেকে আমি লিজ নিলেও কিছু লোকজন আমাকে এখানে যেতে দিচ্ছে না, আমাকে হয়রানি করছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে আমি এ বিষয়ে বিচার দিলাম। আর আমার দোষ থাকলে সে বিচারও করবেন। যদি তারা কাগজ দেখাতে পারে তাহলে আমি এ জায়গা নিয়ে কোনো দাবি করবো না।