রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
কেন্দুয়ায় বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে আমনের সবুজ সমারোহ
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৫১ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমনের সবুজ সমারোহে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে, যেদিকেই চোখ যায় শুধুই আমনের বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ আর সবুজ। আর এসবুজ ধানের পাতায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। 

কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার, কীটনাশক প্রয়োগসহ উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক দেখভাল  করার ফলে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সর্বমোট ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  ৯০হাজার ৫শ মেট্রিকটন। আমনে এবার এই উপজেলার দেড় হাজারেরও অধিক কৃষককে প্রণোদনা স্বরূপ সার ও ধান বীজ দেওয়া হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দুয়া পৌরসদরসহ ১৩টি ইউনিয়নে আমন ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি খেতে শীষ উঁকি দিচ্ছে। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল হক কনকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি তিন বিঘা জমিতে এবার আমন চাষ করেছি। 

পোকা-মাকড়ের আক্রমন ছিল, তবে খুবই কম। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে গত বছরের চেয়ে এবছর আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। 

চিরাং ইউনিয়নের  শিক্ষক ও কৃষক  এনামুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বুক ভরা আশা নিয়ে দিনভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি, যদিও এবার পোকা মাকড়ের আক্রমন কম ছিল, আমন ধান গত বছরের চেয়ে এবার ভাল হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসে তবে এবার আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরো বেশ কিছু কৃষকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ভালোভাবে আমন ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। এই অঞ্চলের কৃষকরা বিপুল পরিমান ফসল উৎপাদন করে অত্র অঞ্চলের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেও এ ধান দেশের বিভিন্ন জায়গায়  সরবরাহ করে থাকে। 

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা  মাসুদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন মাঠে যাচ্ছি এবং আমাদের কৃষক ভাইদের কীটনাশক প্রয়োগসহ সকল ধরনের  পরামর্শ পদান করে আসছি। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা  মাঠ পর্যায়ে কৃষক ভাইদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। 

কৃষকরা নিয়মিত কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং আমাদের পরামর্শমত ধান চাষ করেছে। তিনি আরো বলেন, রোগ-বালাই পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ফলে আমানের বাম্পার ফলনে তেমন কোন  বাধা হতে পারবেনা। 

বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে, এতে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত