সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এই যে একটা স্লোগান, দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত। রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। তো, রক্ত আমরা কাদের জন্য দেব? এখন আমরা রক্ত কাদের জন্য দেবো? আমি যখন দেখলাম আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে ভাগ করছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে যাচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে। দ্য মেথড অব পেমেন্ট–৫ কোটি না ১০ কোটি।’ একজন বলছে, ‘আমি ভাই নির্লোভ মানুষ। আমার এত লোভ নাই। ৫ কোটি হলেই চলবে।’ অন্যজন বলছে ‘১০ কোটি।’ প্রথমজন বলছে, ‘তোমার যা মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আর এই বার্ধক্যের নেতৃত্ব সচিবালয়ে বসে আমাদের রক্ত মাড়িয়ে টাকা ভাগ করে। স্কাউন্ড্রেল...। এই বার্ধক্যের নেতৃত্বের জন্য আমরা (ছাত্র-নাগরিক) রক্ত দিতে প্রস্তুত না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই আপনারা যারা সচিবালয়ে বসে নীতিনির্ধারণ করছেন, আপনারা সচেতন হোন। কারণ, ছাত্র-নাগরিক ৫ তারিখ যেভাবে হাসিনাকে তার মসনদ থেকে নামিয়েছে, আপনাদের সচিবালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ মিনিটের ডিসটেন্স। আপনারা সচিবালয়ে বসে ৫ কোটি না ১০ কোটি ভাগ করবেন, আর আমরা বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনতে পারব না, এ জিনিসটা হবে না।’
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ফেইক’বলেই দাবি করেছেন তিনি। এবার বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।