আশুগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে বিএনপির এক নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেনকেও বদলি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন, এসআই প্রদ্যুৎ ঘোষ চৌধুরী ও দীপক কুমার পাল।
অপরদিকে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতার নাম নোমান মিয়া। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আশুগঞ্জ বাজারের সার পরিবহন ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা নোমান মিয়া।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য
অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ বাজারে তার ভাড়া বাসায় গিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালান। অভিযান শেষে সেনা সদস্যরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় এসআই দীপক কুমার পাল প্যান্টের পকেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা বাসার অন্য কক্ষে গিয়ে ফেলে আসেন। পরে এসআই দীপক ও প্রদ্যুৎ সোফার পেছনে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। নোমান মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে এসআই প্রদ্যুৎ হাতকড়া পরিয়ে মারধর করেন।
একপর্যায়ে বাসায় থাকা নগদ ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ‘হুন্ডির’ দাবি করে সেগুলোও হাতিয়ে নেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন ব্যাংকের নয়টি চেকের পাতা ছিঁড়ে নিয়ে যান। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে থানায় নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী নোমান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় যে মামলা হয়েছে সেখানে ভুলক্রমে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে বাদী। পরে সকালে মামলার বাদী রমজান মিয়া এসে কোনো অভিযোগ নেই জানালে পুলিশ দুপুরে ছেড়ে দেয়। দল থেকে বহিষ্কার হওয়া বিএনপির নেতা নাসির এসব করিয়েছেন। আমি এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।