মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
ভালুকায় খাবার ও আশ্রয় হারিয়ে বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য পশু-পাখি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৩২ PM
ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ী ও কাদিগড় বিট উথুরা রেঞ্জের আঙ্গারগাড়া বন বিট এলাকায় শাল গজারি বন সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় গাছ কেটে উজাড় হওয়ায় খাবার ও আশ্রয় হারিয়ে বিলুপ্ত হচ্ছে বহু প্রজাতির পশু পাখি। 

অপর দিকে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের হুমকি সহ বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী। 

ভাওয়াল বনের উত্তরাংশ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার সীমানা ঘেষা শাল গজারী বনাঞ্চল বেষ্টিত ভালুকায় কয়েক বছর পূর্বেও মেছু বাঘ, বনো শুকরের টাক, সজারু, সহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যত ছিল। 

রাতের বেলা বাড়ীর পাশে তমাল গাছের ঝোপে ভূতুম পেঁচার ডাক শোনিয়ে মায়েরা শিশুদের ঘুম পারাতেন। আম, কাঠাল, জাম, ডেওয়া ফল, আতাফল, সীতাফল আরও অনেক জাতের ফলফলাদি  বন্য পশুপাখিরা খেয়ে বাঁচে। এ অঞ্চলে এসব গাছপালা একেবারেই কমে যাওয়ায় পশুপাখীর খাদ্য ও বাসস্থান না থাকায় বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত প্রায়। বৃক্ষ শুধু পশুপাখির আবাস স্থল বললেই শেষ কথা নয়। আদি কাল থেকেই বৃক্ষ প্রসিদ্ধ কোন স্থানের নামের পরিচয় বহন করে আসছে।

ভালুকার হবিরবাড়ী ও কাদিগড় শাল গজারী বনে কিছু টাক ধরা বানর রয়েছে যে গুলি খাদ্যাভাবে বন ছেড়ে প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে খাদ্যের সন্ধ্যানে। কৃষকের ফসল নষ্ট করে খাবার খেয়ে তারা আবার বনে ফিরে যায়। 

হবিরবাড়ী গ্রামের কৃষকরা জানান খুধার্ত বানরের পাল ধান, সবজি ও বিভিন্ন ফল ফসলের ক্ষতি সাধন করে থাকে তবু বানরের উপর কেউ অত্যাচার করেন না। 

প্রবীণ ও সচেতন মহলের অভিযোগ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে এ অঞ্চলের বহু প্রজাতির পশুপাখি প্রায় সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়ে ওই প্রবাদটিই যেন বাস্তবে রুপ নিয়েছে। এর কারন হিসেবে বন এলাকায় অসংখ্য অবৈধ করাতকল থাকায় বেপরোয়া কাঠ চুরদল দীর্ঘদিন যাবৎ কাঠকেটে ওইসব করাতকলে চিড়াই করে বন উজার করে চলেছে। 

কাদিগড় বিটের অন্তরগত বাটাজোর, কাচিনা, তামাট, মল্লিকবাড়ী বাজারে ২০/২৫ টি, উথুরা বিটের চামিয়াদী, কৈয়াদী, হাতিবের, বনকোয়া, ভরাডোবা এলাকায় ৩০/৩৫ টি, আঙ্গারগাড়া বিটের ডাকাতিয়া চৌরাস্তা ও আশপাশে ৮/১০ সহ উপজেলার বনাঞ্চল বেষ্টিত এলাকায় অসংখ্য অবৈধ কড়াতকলে কাঠ চিড়াই করে বন উজার করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। 

বন বিভাগের তথ্যমতে বন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাত কল স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও বনের মধ্যস্থলে কি করে তা বসানো হচ্ছে এর উত্তর কে দিবে। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত