সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
ভূঞাপুরে টানা বর্ষণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বাসা বাড়ীতে পানি
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২৪ PM আপডেট: ০৬.১০.২০২৪ ৭:৪৩ PM
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় টানা বর্ষণে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খেলার মাঠে হাঁটু পানি জমেছে। 

একই সাথে ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত বৃষ্টির পানি পৌর শহরের পাড়া-মহল্লার বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পৌরবাসী। বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও। এমন জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভার প্রধান শহর ৪ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানিতে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও বহু বাসা বাড়ির আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।

ঘাটান্দী গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন- একে তো পৌর কর্তৃপক্ষের নিন্মমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, তারমধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা ছাড়াই অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বৃষ্টি ছাড়াই সব সময় জলাবদ্ধতার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের ফ্রিজ ও অন্যান্য অনেক আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।

স্বেচ্ছাসেবী রায়হান তালুকদার রাসেল বলেন- ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকা ও নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে পানি জমে যায় এবং সেই পানির দুর্গন্ধে শহরবাসী অতিষ্ঠ। এই ভোগান্তি নিরসনের জন্য সম্প্রতি অপসারণ হওয়ার পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলরদের বহুবার জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে শহরবাসীর ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভূঞাপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন- শহর থেকে পানি বের হওয়ার কোন জায়গা নেই। তাই স্কুল ও কলেজের মাঠ ভর্তি হয়ে সেই পানি দোকানে প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে মাঝে মাঝেই হয় কিন্তু দেখার কেউ নাই।

ঘাটান্দী উত্তরপাড়ার সাইফুল ইসলাম বলেন- ৪ ও ৯ নং ওয়ার্ডের আমরা পৌরসভায় সব থেকে বেশি পরিমাণে কর দিলেও সারা বছরই রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকে। আর বৃষ্টি হলে ঘরে পানি প্রবেশ করে। এই হলো পৌরসভার উন্নয়ন। আমরা এর প্রতিকার চাই।

ভূঞাপুর শহরের প্রধান জলাধারের যে খালটি ছিল যা পৌরসভার ময়লা ফেলে ভরাট করেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে পুরো খালটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এভাবে শহরের প্রতিটি খাল দখল ও ভরাট হলেও তা উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাদের গাফিলাতিতেই বাসার নীচ তলা ডুবে গেছে। অনেক কিছু পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা ও উদাসীনতার কারণে পৌরবাসী ভোগান্তিতে পড়েছে।

এসব বিষয়ে ভূঞাপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সুকমল রায়ের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর পৌরসভা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন- কয়েকদিন আগে পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়। যেহেতু টানা বৃষ্টি তাই জলাবদ্ধতা হয়েছে। আরও অন্যান্য ড্রেন পরিষ্কার করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত