মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
ইবি শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:০১ PM
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা অভিযোগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে। 

অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুর ১ ঘটিকার দিকে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে তালা দেন তারা। এরআগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে আসেন।
 
এসময় তারা দফা এক দাবি এক হাফিজের পদত্যাগ, হাফিজের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, হাফিজ হঠাও ডিএস বাঁচাও। ইত্যাদি  স্লোগান দেন। 

পরে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে ফটক ছেড়ে দেয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর ২টায় বাস নির্ধারিত সময়ের থোকে প্রায় আধাঘন্টা দেরিতে ছেড়ে যায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজ বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তার মনের মত না হলে করা হয় ভয়াবহ মানুষিক নির্যাতন। একজন শিক্ষার্থী কি ড্রেস পড়বেন, কার সাথে মিশবেন সব কিছুতে হস্তক্ষেপ করেন তিনি। তার মনের মত হলে পরীক্ষার খাতায় নাম্বার ভালো পাওয়া যায় তা নাহলে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় হুমকি, বডি শেমিংসহ শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগ তুলেছেন তার বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।

বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। এবিষয়ে আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত