জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম দিপু বলেছেন, বিগত ২০ বছর যাবৎ আমি একটা হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে প্রবাসে আছি।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে এই মামলায় সানো হয়েছে। মূলত তাদের দলীয় কোন্দলে সাবেক সাংসদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। পরে পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নেতাদের এই মামলায় আসামী করা হয়েছিল। তিনি এলাকাবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আহসান উল্লাহ মাষ্টার আমার শিক্ষক আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমার পিতৃসমতুল্য।
আমি কিভাবে তাকে হত্যা করতে পারি? তাছাড়া সেদিন আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে গুলশানে অবস্থান করছিলাম। অথচ তারা বলছে আমরা তিন ভাই নাকি হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছি।
প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখুন সেদিন আমি কোথায় ছিলাম কার সাথে কথা বলেছিলাম।
টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতাদের এই ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে দেশের আইন আদালত সব জিম্মি ছিল। এখন সময় এসেছে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবার।
আমি অচিরেই দেশে আসবো আওয়ামী লীগ নেতাদের সত্যের কাঠগড়ায় দাড় করাবো ইনশাআল্লাহ। সোমবার রাতে তার জন্মস্থান টঙ্গীর মরকুন এলাকায় পঞ্চাশতম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক সোহেল রানা সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন নুরুল ইসলাম দিপুর মা রেকাত বানু। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাইফুল খান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও মরকুন গোপালপুর এলাকার বাসিন্দারা। এ সময় বিশেষ মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে জন্মদিনের কেক ও খাবার বিতরণ করা হয়।