ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন ও লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. মোহা. খাইরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। কমিটিকে আগামী ১০ কার্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, সাদ্দাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ও আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ওহাব।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষে প্রক্টোরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে উপাচার্য উক্ত কমিটি গঠন করেছেন।
গত সোমবার (০৭ অক্টোবর) অভিযুক্ত শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অপসারণের দাবিতে বিভাগের সামনে থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান ফটকে তালা দেন তারা। এরপর প্রক্টোরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে ফটক ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন তারা। লিখিত অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধীতা, রুমে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ায় বৈষম্যসহ ২৭ টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।