সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড চট্টগ্রাম বন্দরের একচ্ছত্র সুপার পাওয়ারে পরিণত হয়েছে। শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নিয়োজিত যন্ত্রপাতি মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মকান্ড শুরু করলেও এখন সেই প্রতিষ্ঠানটিই চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একে একে বাগিয়ে নিয়েছে সিসিটি এবং এনসিটির টার্মিনাল পরিচালনার কাজ। এতো এতো কাজ আর ক্ষমতার দাপটে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সাইফ পাওয়ারটেকের বেশীর ভাগ গাড়ি চলাচল করতো রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবস্থায়। অবশেষে বিশেষ যৌথ অভিযানে একে একে ধরা পড়েছে সাইফ পাওয়ারটেকের রেজিস্ট্রেশন বিহীন ১০টি গাড়ি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরে রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ গাড়ি চলাচল রোধকল্পে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন -এর নেতৃত্বে বিআরটিএ, চট্টগ্রামের একটি বিশেষ যৌথ অভিযানে সাইফ পাওয়ারটেকের এসব গাড়ি ধরা পড়ে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সাইফ পাওয়ারটেক-এর বিভিন্ন টার্মিনালে নিবন্ধন বিহীন অন্তত ৬০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পাওয়া যায়।
এর প্রেক্ষিতে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান অপু সতর্কতামূলক সাইফ পাওয়ারটেক-এর ১০ (দশটি) গাড়িকে (ট্রেইলার) রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে প্রতিটি ৩০ হাজার টাকা করে মোট তিন লক্ষ টাকা জরিমান করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাইফ পাওয়ারটেক-এর সংশ্লিষ্টদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবগুলো গাড়িকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এই যৌথ অভিযানে বিআরটিএ, চট্টগ্রামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ, চট্ট মেট্রো -১ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোঃ আনোয়ার হোসেন, চট্ট মেট্রো - ২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক পলাশ খিশা, চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারি মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল মতিন, বিআরটিএ, বিভাগীয় কার্যালয়ের বেঞ্চ সহকারি আল-ফরহাদ ও এমিল চাকমা।
সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই যৌথ অভিযানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন বন্দর থানা পুলিশ ও ট্রাফিক জোন বন্দর।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেকের দ্বায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ও বন্দরে কর্মরত একাধীক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, সাইফ পাওয়ারটেক বন্দরের নানান অপকর্মে জড়িত। অনুসন্ধান করলে আরো অনেক অনিয়মের হদিস পাওয়া যাবে।