কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসবাহী (এলজিপি) দুটি জাহাজে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ চট্টগ্রাম বন্দরের টাগ বোট। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টার দিকে কুতুবদিয়া উপকূলের বহির্নোঙরে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘শনিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ “সুফিয়া” এবং মাদার ভেসেল “ক্যাপ্টেন নিকোলাস”-এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ চট্টগ্রাম বন্দরের টাগ বোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
তিনি জানান, মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি লাইটার জাহাজ সুফিয়ার আগুন। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সমুদ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টা ৪২ মিনিটে সাগরের কুতুবদিয়া এলাকায় এলপিজি গ্যাস খালাসের সময় দুটি জাহাজে আগুন লাগে। এলপিজি মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস থেকে লাইটার জাহাজ সুফিয়াতে হস্তান্তর করা হচ্ছিল। সে সময় মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাসে আগুন লাগে। পরে আগুন লাইটার জাহাজ সুফিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় জাহাজের নাবিকরা পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে নৌবাহিনী আর কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, দুটি জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। একটি মেটাল শার্ক এবং চারটি অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধারকারী দল এ কাজে অংশ নেয়। পাশাপাশি বন্দরের টাগ বোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইটার জাহাজ ‘সুফিয়া’তে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের এটি চতুর্থ ঘটনা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। দুটি জাহাজই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।
বাবু/এসআর