জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সকলে মিলে মিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অহিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে। তিনি মঙ্গলবার টেংকের পাড় মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলনে।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে অন্য কোনো দেশ বা শক্তির অধীনতা থাকবে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে। বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার উন্নয়নের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের কিসমত গড়তে চেয়েছিল। এই ফ্যাসিস্ট দল ও তার দোসররা জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। গত ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। তারা জাতির ঘাড়ে বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরো নির্যাতিত হবে।
জামায়াতের আমীর বলেন, বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পায়তারা করেছে। তারা গণ আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমী এবং আলেম ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী চাদর গায়ে দিয়ে নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বিশেষ একটি ইসলামী সংগঠনের ব্যানারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা বিশেষ পতাকা বহন করে। বাংলাদেশকে দুনিয়ার সামনে জঙ্গি ও চরমপন্থি দেশ হিসেবে পরিচয় করতে চাচ্ছে। তবে তাদের এই প্রচেষ্টা জাতি সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ করে দেবে।