গোলাম রসুল (৫৪), সে পেশায় একজন কলা ব্যবসায়ী। তার ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬) বিবাহিত এবং সে উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। বাদীর ধারণা তার ছেলেকে জ্বীনের আছর করছে। এমতাবস্থায় বাদী তার ছেলের চিকিৎসার জন্য “এসএ” টিভিতে মাওলানা হাবিবুল্লাহ নামক হুজুরের একটা বিজ্ঞাপন দেখে এবং বাদী তার ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করে।
তখন আসামী নিজের নাম বলে খোকন এবং সে মাওলানা হাবিবুল্লাহ হুজুরের খাদেম বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। বাদী তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে তার ছেলেকে হুজুরের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখন হুজুরের খাদেম পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি বাদীর নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে মেডিসিন কিনার জন্য ১,২০০/- টাকা গ্রহন করে।
পরবর্তীতে একাধিক বার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাদীর নিকট হতে ১৩,০০,০০০/- টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করে। উক্ত প্রতারণা করার বিষয়ে বাদী পিবিআই যশোর জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করলে পুলিশ সুপার মহোদয় আবেদনটি ছায়া তদন্তের জন্য এসআই(নিঃ) রতন মিয়া, পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসআই(নিঃ) রতন মিয়া কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী ১। মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে খোকন (৪১), পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন ২। আলামিন, পিতা- অজ্ঞাত, ৩। আনোয়ার, পিতা- অজ্ঞাত, সর্বসাং- ফুলগাছিয়া (পদ্মামানসা), থানা-বোরহানউদ্দীন, জেলা-ভোলা’গণ নিজেদের জ্বীনের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
আসামীরা একই ভাবে বাদীর নিকট হতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১৩,০০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয় এবং তারা বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়।
উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামী ১। মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে খোকন, ২। আলামিন, ৩। আনোয়ার ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (পূর্বাঞ্চল), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ধানমন্ডি, ঢাকা এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে এসআই(নিঃ) রতন মিয়া, এসআই(নিঃ) গোলাম আলী, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক আসামী ১। মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে খোকন (৪১), পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন, সর্বসাং- ফুলগাছিয়া (পদ্মামানসা), থানা-বোরহানউদ্দীন, জেলা-ভোলাকে গত ১৪/১০/২০২৪ খ্রিঃ ২৩.৩৫ ঘটিকায় কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার গোপগ্রাম বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে চৌগাছা থানার মামলা নং-৯, ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৩৮৫ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) রতন মিয়া এর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) রতন মিয়া ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।