পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের কৃষির নিষদ্ধ বালাইনাশ উদ্ধার করেছে। এসময় নিষিদ্ধ বালাইনাশক মজুদ ও বাজারজাত করণের অভিযোগে আলমদিননা এনবটাপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারি মো. আব্দুস লাম নামে এ কীটনাশক ব্যবসায়িকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)সকালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা গ্রামের কীটনাশক ব্যবসায়ি আব্দুস সালাম এর বসতবাড়ির গুদাম থেকে নিষিদ্ধ কীটনাশ উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ বছর আগে কৃষির বালাইনাশক ডায়াযনীন-১০ ও বাসুডিন-১০ সহ বেশ কিছু বালাইনাশক পাউডার সরকার ক্ষতিকর বলে নিষদ্ধ ঘোষণা করে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ি এসব ওষুধ মজুদ করে নিরীহ কৃষকের মাঝে সরবরাহ করে আসছিলো।
গোপনে সংবাদ পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পিরোজপুর উপপরিচালক দেবশীষ রায় এর নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার ভাণ্ডারিয়ার হরিণপালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ বালাইনাশ উদ্ধার করে।
ওই বালাইনাশক স্থানীয় কীটনাশক ও সার বিক্রেতা মো. আব্দুস সালাম যশোহরের অভয়নগরের মেসার্স নবী এন্টারপ্রাইজ হতে সংগ্রহ করে নিজ গুদামে মজুদ করে স্থানীয় কৃষকদের সরবরাহ করে আসছিলো। ভোক্তা অধিকার অভিযুক্ত কীটনাশক বিক্রেতাকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে উদ্ধারকৃত বালাইনাশক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনস্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা ভোক্তা অধিকার দপ্তরের পণ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত বালাইনাশক গত ১০ বছর আগে সরকার নিষদ্ধ ঘোষণা কর্ ে। কৃষির এসকল ঔষধ উৎপাদন,মজত ও বাজারজাত নিষিদ্ধ। উদ্ধারকৃত বালাইনাশক অগ্নসংযোগ করে বিনস্ট করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কীটনাশ ব্যবসাযির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।