চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে আন্দোলন করছে সদ্য প্রকাশিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় খারাপ করা শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ‘পরীক্ষার খাতা না কেটে রেজাল্ট দিয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড’।
আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়কদের ডেকে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগও তুলেন বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বোর্ডের সামনে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এসময় বিভিন্ন কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সব পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আমাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার পরেও আমাকে অনুপস্থিত দিয়ে দিয়েছি। আজকে আমরা আন্দোলন করছি বলে আমাদেরকে মারার জন্য সমন্বয়কদের ডেকে আনা হয়েছে।’
সীমা হালদার নামে অপর এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টা পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরেও ফেল দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, খাতা না কেটেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরেও তাদেরকে গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস করানো হয়েছে অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এসময় সঠিকভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, ‘যারা খারাপ করছে তারা এসে আন্দোলন করছে। তারা বলছে যে সিলেট বোর্ড দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে আমরা সাত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে কেন খারাপ করলাম। তারা আসলে তাদের মতো করে দাবি তুলছে। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিয়ে যদি রেজাল্ট খারাপ করে তাহলে আমাদের কি কিছু করার আছে।’