নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মেয়েকে (২৬) কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মা (৪০) কে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগে ৪ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ। তবে অভিযুক্তদের দাবি, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নজির মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ওই বাড়ির অলি উল্যাাহ লিটন (৫০), তার ছেলে মো. রিয়াদ (২২), অলি উল্যাহ লিটনের ভাই সাহাব উল্যাহ কালা (৬০) ও কালার ছেলে মো. মেহরাজ (২৪)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক সন্তানের জননী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্ত করেন রিয়াদ ও মেহরাজ। এ ঘটনায় তার মা প্রতিবাদ করলে তাকে ধরে নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত অলি উল্যাাহ লিটন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী কাজি সফিকের সাথে জমিজমার বিষয়ে দীর্ঘদিন পারিবারিক বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জেরে গতকাল বাড়ির মহিলারা মহিলারা ঝগড়া করেছে। আমরা দু’ভাইসহ ছেলেরা ছিলাম বাজারে। কাজী সফিক ওই মহিলাদের দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে কাজি সফিকুল হাসান তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমরা ৪০ বছর অগে কিনে ছিলাম। আমি নই, তারা বারবার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
মুছাপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাকার হোসেন রাশেদ বলেন, বুধবার রাতে ওই বাড়িতে গন্ডগোল হওয়ার কথা লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ জানাননি। আমি দোকান করি। ব্যস্ত থাকায় নিজে গিয়ে খোঁজখবর নিতে পারিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।