আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থেকেও একটি হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তিনি হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হোসেনকে গত ১৭ জুলাই রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। গত ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বরের একটি গায়েবি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর ৬ আগস্ট মোজাম্মেল হোসেন কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এদিকে গত ২১ জুলাই হিরাঝিল এলাকায় চলমান ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে রফিকুল ইসলাম (২৪) নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ১৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মোজাম্মেল হোসেনকে ৪০নং আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। জুলাই আন্দোলনে দলের নির্দেশে সক্রিয় থাকায় ১৭ জুলাই রাত ১১টায় নারায়ণগঞ্জের ডিবি পুলিশের একটি দল আমাকে মিজমিজি এলাকা থেকে তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালযে রাখে। ডিবি পুলিশ পরদিন আমাকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করে। সদর থানা পুলিশ ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর একটি গায়েবি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমাকে কোর্টে পাঠায়। ওই মামলার এজাহারে আমার নাম ছিল না। তবুও কোর্টের নির্দেশে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশে গত ৬ আগস্ট আরও অনেকের মতো আমিও জেল থেকে ছাড়া পাই। এখন দেখি ২১ জুলাই হিরাঝিলে গুলিতে নিহত রফিকুল ইসলাম নামের হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। গায়েবি মামলায় যে সময়ে আমি জেলে বন্দি ওই সময়ে হত্যার ঘটনায় যদি নতুন বাংলাদেশে আসামি হই তাহলে কোথায় ন্যায় বিচার চাইব?
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করেছি। তদন্তের সময়ে বিষয়টি আমরা দেখব।