বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হতাহতের ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক মামলার আসামি টঙ্গীর সদ্য সাবেক দুই কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম ও আবু বক্কর সিদ্দিকি গ্রেফতার হয়েছেন।
আরেক সাবেক কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। মারা যাওয়া ও গ্রেফতার হওয়া সাবেক তিন কাউন্সিলর আওয়ামীলীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে হামলা মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ড (টঙ্গী) এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন। সম্প্রতি সরকার কাউন্সিলরদের পদ বাতিল করলে তিনি সাবেক হন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান সংবাদটি নিশ্চিত করে বলেন দুইজনই টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী।
র্যাব-১ জানায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় গাজীপুর সিটির ৫০ নং ওয়ার্ড টঙ্গীর গাজীপুরা’র সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিকিকে (৬৫) কক্সবাজার থেকে একইদিন সকালে গ্রেফতার করে র্যাব-১৫। তারা আসামিকে র্যাব-১ এর কাছে হস্তান্তর করেছেন।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক ( অপস্ এন্ড মিডিয়া) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে সন্ধ্যার পর গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের ৪৬নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু (৪৮) পলাতক থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর স্বজনরা জানান, চার দিন যাবৎ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি স্ট্রোক করেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালেই মারা যান।