দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু'গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সুলতান (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামি সোহরাব (৬০) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত সুলতান নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া-খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।
গত ২৩ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে বোয়ালমারী গ্রামস্থ ফকিরপাড়া মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া-গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বিএনপি'র দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৫/৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়।
এদের মধ্যে নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া-খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান গুরুতর ভাবে আহত হয়। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলের রেফার করেন।
এ ঘটনার ৫ দিন পর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি গচিয়ার পাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে আটক করতে সক্ষম হয়।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা প্রায় সকলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রাজশাহী মেডিকেলে ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯ টার দিকে সুলতান মারা যায়।