সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান শূন্য পদগুলোতে লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩ মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে তথ্য চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ
তথ্য পাওয়ার পর আগামী মাসেই এ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে।
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য সব কাজ ইতোমধ্যে প্রায় গুছিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা। এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লাখেরও বেশি হবে বলে তার ধারণা।
গত ৩০ অক্টোবর অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে এনটিআরসিএ, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
এর আগে, গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে এনটিআরসিএ। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।