পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও সচেতনতা বাড়াতে গঙ্গাচড়া উপজেলায় বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় বাজার ও বড়বিল মন্থনা বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধন-২০০২) অনুযায়ী, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে সরকার পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। একই আইনে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সর্বনিম্ন শাস্তি ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং পলিথিন ব্যবহারকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে বাতাস, পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এই অনুপ্রবেশের ফলে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ও কিডনিজনিত রোগের উপক্রম ঘটে।
প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির উপকরণগুলোর মধ্যে বিসফেনল এ (বিপিএ) ও ফ্যালেটসের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সমস্যা ও ক্যানসারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য জটিলতার সৃষ্টি করে। তাই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে যাবতীয় প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ ও পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এসব ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী গঙ্গাচড়াতেও বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে শৃঙ্খালা ফেরাতে মূল্য তালিকা না টাঙানোর অপরাধে ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মোতাবেক গঙ্গাচড়া বাজারের ডিম ব্যবসায়ী আরিফকে ১৫০০ টাকা, কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহিনুরকে ১৫০০ টাকা,গলামাল ব্যবসায়ী মুকুলকে ২০০ টাকা এবং বড়বিল মন্থনা বাজারের ফল ব্যবসায়ী মোস্তাকিমকে ১৫০০ টাকা, মন্জুররুল হক মাকুমকে ১০০০টাকা। হাটের জায়গা বে আইনিভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের দায়ে আশরাফল ইসলামের দোকান সিলগালা করা হয়েছে।