যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত ডেমোক্রেট শিবির, যার প্রমাণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। পাশাপাশি ইসরাইলকে অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির বীজ বপণেও দায়ী বাইডেন প্রশাসন। সেকারণে আগে থেকেই মুসলিমদের বিরাগভাজন হয়ে উঠেছিল বাইডেন-কমলা প্রশাসন।
ট্রাম্প বলেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা হাতে পাওয়া মাত্রই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করবেন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ নিয়ে এক্সবার্তা দেন ট্রাম্প। এটিকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশের ব্যাপারে অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
গত বছরের শুরুতেই সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছিলেন, তিনি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন তাহলে একদিনের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরু হতো না বলেও দাবি করেন তিনি।
বাইডেনের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, একবার যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ট্যাংক দিচ্ছে আমেরিকা, এরপর তো দরকার পড়লে পরমাণু অস্ত্রও দেবে। সময় নষ্ট না করে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ থামান। খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে।
জোর দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমাকে প্রেসিডেন্টের আসনে বসান, তারপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সহমতেই এই যুদ্ধ বন্ধ করব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ তা মেনে নেওয়া যায় না।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথাই শুধু বলেননি ট্রাম্প। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী। ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সেও বার্তা দিয়েছিলেন।
গত ৩১ অক্টোবর দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেন, আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লেখেন, কমলা এবং বাইডেন বিশ্বজুড়ে ও আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করে আসছে। ইসরাইল থেকে ইউক্রেন এবং সেখান থেকে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পর্যন্ত এলাকার জন্য একটি বিপর্যয় হয়ে এসেছেন তারা। সেখানে আমরা আবার আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং সেই শক্তি দিয়ে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনব। সেই বার্তায যুক্তরাষ্ট্রেও ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব।
বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের জন্যেই মার্কিন নির্বাচন বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে আসছে। ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি মার্কিন কাঠামোগত নীতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব চিন্তাধারায় চলা একমাত্র সাবেক সরকারপ্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের চিরশত্রু রাশিয়া হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও। সেকারণে ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া মানে অনেক কিছুর পরিবর্তনের আভাস।