শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বৈশাখ ১৪৩২
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমারখালীর গড়াই নদীতে পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:০৬ PM
গড়াই নদীর দুই দিকেই বাঁধ আছে। তয় মধ্যি নেই। এহন নদীর পানি কমছে আর ভাঙছে। পেত্যেক বার ভাঙে, লোক আসে। তবে বাঁধ হয়না। ভাঙন নিয়ে সগলেই আতঙ্কে আছি। 

আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলু মিস্ত্রি স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। তিনি দ্রুত গড়াই নদীপাড়ে পাকা বুাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। 

গড়াই নদীর কুলঘঁষে কুমারখালী পৌরসভা ও উপজেলা শহর অবস্থিত। ১৮৬৯ সালে গঠিত প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় প্রায় ৬০ মানুষের বসবাস। পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্ডুপাড়া এলাকার হিম্মতমোড় থেকে গড়াই ইকোপার্ক পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার এলাকায় নেই বাঁধ। তার মধ্যে প্রায় ১৫০-২০০ মিটার অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। গেল দুই-তিন ধরে ভাঙলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে হুমকির মুখে পড়েছেন গড়াই ইকোপার্ক, পার্কের মসজিদসহ অন্তত ৬০ থেকে ৭৫ টি ঘরবাড়ি ও পরিবার। 

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০০৩ সালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্ডুপাড়া ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকায় কয়েক কিলোমিটার বক্ল দিয়ে শহর রক্ষায় পাকা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে পাউবো কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় প্রায় ২১ বছরেও কুন্ডুপাড়ার হিম্মতমোড় থেকে গড়াই ইকোপার্ক পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার এলাকায় কাঁচা বা পাকা কোনো বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এতে প্রতিবছরই ভাঙতে ভাঙতে নদী বাঁকা হয়ে ঢুকে পড়ছে বসতি এলাকায়।
  
বুধবার বিকালেল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। গড়াই ইকো পার্কের মসজিদ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দুরের কয়েকটি স্থানে প্রায় ১৫০-২০০ মিটার এলাকায় ভাঙন লেগেছে। 

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মিলন হোসেন জানান, প্রায় ২১ বছর ধরে ভাঙছেই। ভাঙন লাগলে প্রশাসনের লোকজন আসে। বাঁধ নির্মাণের কথা বলে চলে যায়। তবুও বাঁধ হয়নি। এবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি দ্রুত পাকা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। 

কুন্ডুপাড়ার আমিরুলের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বলেন, পানি কমলেও ভাঙে, বাড়লেও ভাঙে। আবার ফের ভাঙন লেগেছে নদীপাড়ে। কবে যে ঘড়বাড়ি ভেঙে যাবে। এই ভেবে সবাই খুব আতঙ্কিত। 

২০০৩ সালে কেন মাঝখানে ফাঁকা রেখে দুইপাশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল তা জানেন না কুষ্টিয়া পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়ামিন হক। 

তিনি বলেন, কুন্ডুপাড়া এলাকায় ১৫০-২০০ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গড়াই নদী প্রকল্প ২ পাশ হলে সেখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। 

গড়াই নদীপাড় ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত