নিখোঁজের ৭ দিন পর ১১নভেম্বর সোমবার রাত ১১টার সময় সুমন (১৭) নামের মরদেহ শেরপুর পৌরশহরের সজবরখিলা মহল্লা থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ত্রিভুজ প্রেমের প্রেমিকা আন্নি ও অপর প্রেমিক রবিন ও তার বাবা মোঃ ফোরকান মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় শেরপুর সরকারি কলেজের সম্মুখে সুমন হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর এবং আদালত প্রাঙ্গণে সুমন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলে হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষার্থী সমুনের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সুমন এবং আন্নি একই কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে রবিন নামের আরেক ছেলের সাথে আন্নি প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় সুমনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আন্নি। গত ৪ নভেম্বর সুমনকে সরিয়ে দিতে বিয়ের কথা বলে নতুন প্রেমিকের বাড়িতে ডেকে আনেন । এরপর সুমনকে হত্যা করে রবিনের বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখে।
এঘটনায় সুমনের বাবা শেরপুর সদর থানায় জিডি করেন পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাপহরণের মামলা করেন। পরে পুলিশ মামলাটির তদন্তের পাশাপাশি আন্নি এবং আন্নির বাবা আজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে দ্বিতীয় প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাড়ির উঠানে সুমনকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে পুলিশ রবিনকে নিয়ে তার তথ্যমতে যে জায়গায় মাটি দেওয়া হয়েছে সেইখানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশটি উদ্ধার করে।