রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার একযুগ পেরিয়ে গেলেও কেবল সাক্ষ্যগ্রহণেই থমকে আছে বিচারকাজ।
মামলার ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১৫ জন। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ৮৯ জনের সাক্ষ্য এখনো অসম্পন্ন রয়েছে। এতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ উভয়ই চাইলেও সাক্ষী না আসায় আলোচিত এ মামলার বিচার এগোয়নি।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মোট ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত ও ২০০ জনের অধিক আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক যুগেও শেষ হয়নি বিচারকাজ। সাক্ষীরা নির্ধারিত সময়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে আছে বলে জানায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
নয় বছরে পনেরো সাক্ষ্য
আলোচিত এ মামলাটি বর্তমানে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহানের আদালতে বিচারাধীন। মোট ১০৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালে মামলার বাদী এসআই খায়রুল ইসলামসহ পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২০১৭ সালে দুজন, ২০১৯ ও ২০২১ সালে একজন করে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে এ মামলায় কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মাত্র চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে তাজরীন ফ্যাশনসের এমডি দেলোয়ারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।