শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বৈশাখ ১৪৩২
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
প্রাথমিকের পাঠ্যবই থেকে আগের যা বাদ পড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৩ PM আপডেট: ০৭.১২.২০২৪ ৭:৫৭ PM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। বাদ দেয়া হচ্ছে আগের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয়, সেইসঙ্গে নতুন করে সংযোজন হচ্ছে অনেক বিষয়। 

বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে সাতটি গদ্য ও পদ্য বাদ দেয়া হচ্ছে। আর নতুন করে ৮টি গদ্য ও পদ্য যুক্ত হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনটি গদ্য, একটি পদ্য ও একটি জীবনী বাদ দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণির একটি বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী বাদ দিয়ে সেখানে জাতীয় চার নেতার জীবনী যোগ করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও বাদ দেয়া হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আগামী বছরের বইতে অতিবন্দনা, অতিকথন বাদ দেয়া হয়েছে। সে কারণে বইতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া আগে যাদের অবদান বই থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল, এমন অনেকের তথ্য যুক্ত হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে নতুন পরিস্থিতিতে এগুলো যোগ করা হয়েছে। বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হচ্ছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ অধ্যায়ের নাম পরিবর্তন করে ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ করা হয়েছে। সেখানে শুরুতেই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। সেটি বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একটি দৃশ্যের ছবি দেয়া হয়েছে। অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে। তাকে জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। নতুন বইয়ে এসব বাদ পড়েছে। এই অধ্যায় শুরু করা হয়েছে ২৫ মার্চের ঘটনা দিয়ে। এই অধ্যায়ের শব্দার্থে বঙ্গবন্ধু বাদ দেয়া হয়েছে। প্রশ্নোত্তর অংশে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি প্রশ্ন ছিল। সেগুলো বাদ দেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা ‘সোনার ছেলে’ বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজী নজরুল ইসলামের ওপর লেখা ‘দুখু মিয়ার জীবন’ যোগ করা হয়েছে। ‘পহেলা বৈশাখ’ শীর্ষক গদ্যের নাম পরিবর্তন করে ‘নববর্ষ’ রাখা হয়েছে। বইয়ের ২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় পদ্মা সেতুর একটি ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে। নববর্ষ অধ্যায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার ছবি বাদ দিয়ে সেখানে নববর্ষের অন্য ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। 

তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে নতুন করে সংযোজন করা হচ্ছে ‘ঘাসফড়িং ও পিঁপড়ার গল্প’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলেবেলা’। বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গদ্য ‘সেই সাহসী ছেলে’। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে ‘আমাদের জাতির পিতা’ বাদ দেয়া হচ্ছে। সেখানে যাচ্ছে জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে লেখা ‘আমাদের চার নেতা’।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মমতাজউদ্দিনের লেখা ‘বাংলার খোকা’ এবং নির্মলেন্দু গুণের লেখা কবিতা ‘মুজিব মানে মুক্তি’। যোগ হচ্ছে ‘টুনুর কথা’ ও রজনীকান্ত সেনের কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। 

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের চৌদ্দ নম্বর অধ্যায়ে ৭২ ও ৮৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘মধ্যযুগ’কে লেখা হবে ‘মুসলিম শাসনামল’। পনেরো নম্বর অধ্যায়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান অংশে ‘বঙ্গবন্ধু’র পরিবর্তে ‘মওলানা ভাসানী’র নাম যাবে। ৭৯ নম্বর পৃষ্ঠায় কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? অংশটুকু সংযোজন হবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত