লালমাইয়ে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেন হত্যা মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব। তবে মায়ের লাশ বহনের সময়ও তার হাতে হাতকড়া ছিল।
সোমবার দুপুরে ওই যুবলীগ নেতা উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজায় অংশ নেন বলে জানান লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম। হাতকড়া পরা অবস্থায় জানাজায় অংশ নেওয়া ও লাশ বহনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরিবার জানায়, রোববার রাত ৯টা ২০মিনিটে যুবলীগ নেতা আবদুল মোতালেবের মা ১১৭ বছর বয়সি হাফেজা খাতুন মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে আবদুল মোতালেবের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মোতালেব প্রথমে বাড়িতে গিয়ে মাকে দেখেন। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এরপর হাতকড়া পরেই মায়ের জানাজায় অংশ নেন। পরে হাতকড়া নিয়েই মায়ের লাশের খাটিয়া কাঁধে বহন করেন।
জানাজার আগে যুবলীগ নেতা আবদুল মোতালেব বলেন, “আমার নসিব খারাপ। ২০০২ সালে যখন আর্মিরা আমারে ধরছে (গ্রেপ্তার) তখন বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এ বছর আমারে ধরার পর আমার মা মারা গেছেন। সেই বিপদে বাবাকে হারাইছি। এই বিপদে মাকে হারাইছি। আমার মা-বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।”