পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন সাইফুল ইসলাম খালেদ (৩০)। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার মাইল্যা বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
পিংকি চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার নোয়াবাড়ীর কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলের জননী। অভিযুক্ত দূর-সম্পর্কের দেবর খালেদ একই বাড়ির ডিশ লিটনের ছেলে।
নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি জানান, পারিবারিকভাবে ১৬ বছর আগে পিংকির সঙ্গে প্রবাসী জাহাঙ্গীরের বিয়ে হয়। খালেদ পিংকির দূর সম্পর্কের চাচাতো দেবর হয় এবং একই বাড়ির বাসিন্দা।
বছরখানেক আগে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে যায়। স্বামী প্রবাসে থাকায় খালেদকে সেটি ঠিক করে আনতে দেন পিংকি। ওই সময় মোবাইল থেকে পিংকির ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নেন খালেদ।
এরপর ওই ছবি ও ভিডিও দিয়ে পিংকিকে ব্ল্যাকমেইল করে সাত লাখ টাকা আদায় করেন খালেদ। একই কায়দায় পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা চালান তিনি।
নিহতের দুলাভাই বাবর হোসেন বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল হকের (৭২) সঙ্গে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন পিংকি। ওই সময় তারা চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে পৌঁছলে তাদের গতি রোধ করেন খালেদ। সেখানে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন খালেদ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুত্রবধূকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে শ্বশুর রেজাউল হোসেনও ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে স্থানীয়রা পিংকি ও তার শ্বশুরকে উদ্ধার করে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে পিংকিকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, নিহত গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে খালেদের পরিবারের আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।