রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মনিয়া রসুলপুর ইউনিয়নের ৬১নং ওয়ার্ড থেকে গত (২০ ডিসেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে বাসা থেকে ফুচকা কেনার জন্য বের হয় ইকরা (১২)। এরপর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আর বাসায় ফিরে আসেনি সে।
সেদিন রাত হয়ে গেলেও ইকরা ফিরে না আসায় তার মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ইকরার কোনো সন্ধান পাননি পরিবার। সন্ধান না পেয়ে একপর্যায়ে হতাশ হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় যান তার মা বাবা। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তারা।
ইকরার বোন বলেন, আমার বোনকে না পেয়ে থানার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করি, প্রথমদিকে ডায়েরি না নিলেও গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানায় ইকরা হারানোর সাধারণ ডায়েরিভুক্ত (জিডি নং- ১৫৮০) করা হয়।
নিখোঁজের বিষয় জানতে চাইলে ইকরার বড় বোন বলেন, ইকরা আমার মাকে বলে ফুচকা আনতে বাসার নিচে যায়। ও বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফিরতে দেরি দেখে আমরা তাকে খুঁজতে ফুচকা দোকোনে যাই। সেখানে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ পাইনি বোনের।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে ছোট থেকেই বাসায় রেখে পড়াশোনা করিয়েছি আমরা। ও কখনও স্কুল কলেজ বা মাদ্রাসায় যায়নি, ওকে বাসায় পড়িয়ে হাফেজা বানানো হয়। ইকরা বাসা থেকে তেমন একটা বের হয় না। সেদিনই প্রথম বাসা থেকে বের হয়েছিল।
পরিবার আরও জানান, কারও প্রতি আমাদের কোনো রাগ ও ক্ষোভ নেই। কে বা কারা এ কাজ করলো আমরা তা জানতে চাইনা এমনকি দেখতেও চাইনা। আমার শুধু আমাদের ইকরাকে ফেরত চাই। যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের যদি কোনো মুক্তিপণ দাবি থাকে তাহলে আমরা তাও দিতে রাজি। আমরা শুধু আমাদের মেয়েকে ফেরত চাই।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে জানতে যাত্রাবাড়ী থানায় যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।