মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে কমপক্ষে ৭টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লাগাতার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকা কলেজে মূল ফটক, কলেজ সংলগ্ন মিরপুর রোডের একাধিক স্থানে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী, ঢাকা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ পরবর্তী সময়ে ঢাকা কলেজে মূল ফটকের সামনে দুইটি, নায়েমের গলি ও মিরপুর রোডে চারটি এবং তেল পাম্পের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক জামিল বলেন, এইমাত্র আমরা যারা পদবঞ্চিত, ত্যাগী, পরিশ্রমী ছাত্রদলের যারা ছিল তাদের উপর অতর্কিতভাবে বোমা হামলা হয়েছে। আমরা নিজ চোখে দেখছি দুইটা মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল রাকিব-নাছিরের অনুসারীরা, তারা ওদিক (নীলক্ষেত) দিয়ে চলে গেছে। আমরা তাদেরকে ধাওয়া দিলেও ধরতে পারিনি।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহবায়ক পিয়াল হাসান বলেন, আমাদের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে অনেক সুবিধাভোগী দলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিক্ষোভ করছে তাদের অনেকেই আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা। কমিটি দিলে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আছে দ্রুত কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময় যোগ্যরা যথাযথ পদ পাবেন।
নিউমার্কেট থানার ওসি মোহসেন উদ্দীন বলেন, আজ ঢাকা কলেজের ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছে। রাতে একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল।
সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে ঢাকা কলেজ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকার কথা জানান তিনি।