মৃত্যুবার্ষিকীর পর এবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পালিত হয়েছে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী। এ সময় বক্তারা বলেছেন, ‘বিগত ১৫ বছর মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাম মুখে আনা বাংলাদেশে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ ছিল। অথচ আমরা কায়েদ ই আযমের জন্য আজ বাংলাদেশ পেয়েছি।’
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত ‘কায়েদ ই আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে স্বাধীন হয়েছিলাম ১৯৪৭ সালে। আমরা কায়েদ ই আযমের জন্য আজ বাংলাদেশ পেয়েছি। ১৯৪৭ সালে তারা যদি এই দেশে না আসতো তাহলে বাংলাদেশে কোনও শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশন সার্চ লাইটের আগে ভারত আমাদের উর্দুদের ওপর হামলা করেছিল। তারা চেয়েছিল উর্দুদের হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশকে কব্জায় নিতে পারবে। বাংলাদেশে যেসব উর্দুভাষী আছেন তাদের পূর্ব পুরুষরা এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বোঝাতে চেয়েছে ভারত না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারত শুধু চেয়েছিল বাংলাদেশ যেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের মহানায়কদের স্বীকার করতে চায় না। কারণ একটাই, ওই নায়কদের স্বীকার করলে তাদের তথাকথিত জাতির পিতা হারিয়ে যেতে পারে ইতিহাস থেকে।’
ইন্ডিয়ান বংশদ্ভূত উর্দুভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিল বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আফজাল ওয়ার্সী বলেন, ‘ভারতের কারণে আমরা দুই দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে গেলাম। তাদের কারণে আমরা দুই ভাই (বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) যুদ্ধ করলাম। আমরা মুসলিমরাই যুদ্ধে নিহত হলাম। কী লাভ হলো? আমরা ভারতের তাবেদার হয়ে গেলাম।’
জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের জাতির পিতা বাদ দিয়ে ফাউন্ডিং ফাদার করা হোক। নবাব সলিমুল্লাহ, শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে এই উপমহাদেশের মুসলিম স্বাধীনতার জনক হিসেবে বিবেচিত করা হোক।’