বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের টঙ্গাঝিরি এলাকায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় ১৬টি মাচাং ঘর।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বান্দরবানসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শাহ মো: মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার শহিদুল কাইছার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লামা থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার। জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), যোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) ও ইব্রাহীমসহ (৬৫) ৪ আসামীকে আটক করা হয়েছে বলে প্রেস রিলিজে জানা গেছে।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ও অন্যান্য আসামীগণ বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও অন্যান্য ভিকটিমগণের নিকট হতে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বাদী ও ভিকটিমগন বাড়ীতে না থাকার সুযোগে রাত ১টা হতে ৩টার মধ্যে উপজেলার সরই ইউনিয়নের টঙ্গাঝিরি এলঅকায় মাচাং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় ১৬টি মাচাং ঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়। এতে আনুমানিক ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।এ ঘটনায় গুঙ্গামনি ত্রিপুরা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে বান্দরবান পুলিশ সুপার দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করার নির্দেশন দেন। মামলার রুজু হওয়াার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় ৭ (সাত) জন আসামীর মধ্যে স্টিফেন ত্রিপুরা,মসৈনিয়া ত্রিপুরা,যোয়াকিম ত্রিপুরা ও ইব্রাহিমসহ মোট ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়া মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ রিমান্ডের জন্য আবেদন প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।