পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসময়, জুবায়েরপন্থীদেরও বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদেরকে কোনো রকম বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদেরকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি (রাত্রি যাপন) সহ সকল তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম হতে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি কাকরাইল মসজিদ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুটি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদপন্থীদের’ মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তাবলীগ জামাতের সাদপন্থি মুসল্লিরা ও আলেম-ওলামারা। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জুবায়েরপন্থীরা বলছেন, তাবলীগের নামে কাকরাইল বা বিশ্ব ইজতেমার মাঠসহ কোথাও সাদপন্থীদের কোন কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।