রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৭ বৈশাখ ১৪৩২
রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
স্বামী-সংসার ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ফরিদা
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪১ PM
বড়াইগ্রামে চাহিদামত মোটা অঙ্কের যৌতুক, নিজের গহনা বিক্রির টাকা এবং বেতনের সমুদয় অর্থ দিয়েও সংসার টেকাতে পারলেন না ফরিদা খাতুন নামে এক এনজিও কর্মী। 

দ্বিতীয় দফায় আরো চার লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় তাকে তালাক দিয়েছেন অর্থলোভী স্বামী আনিসুর রহমান। এ ঘটনায় বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়েরের পাশাপাশি স্বামী ও পাঁচ বছরের সংসার ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই গৃহবধু। 

গৃহবধু ফরিদা খাতুন সোস্যাশ এডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি (সেতু) নামে একটি এনজিওতে এবং আনিসুর রহমান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে মাঠকর্মী হিসাবে কর্মরত আছেন।  

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী উপজেলার মেরিগাছা গ্রামের রইসউদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমানের সাথে গোপালপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে ফরিদা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ফরিদার বাবা মেয়ে জামাইকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরী নেয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেন। 

কিন্তু বছর না ঘুরতেই আনিসুর আরো এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবি তুলে ফরিদাকে তালাক দেন। পরে পারিবারিকভাবে বসে চাহিদামত এক লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়। এছাড়া সংসারের ঋণ পরিশোধের জন্য ফরিদা খাতুনের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা বিক্রিসহ এনজিওতে চাকরীর বেতনের আরো প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নেন আনিসুর। 

তারপরও ২০২৪ সালের শুরু থেকে আরো চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে মারপিট করেন। কিন্তু তা দিতে না পারায় গত ১৪ এপ্রিল ফরিদাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ০৫ মে আনিসুর তাকে তালাক দেন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীর স্বীকৃতি ও নিজের সংসার ফিরে পেতে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গৃহবধু ফরিদা। 

এ ব্যাপারে গৃহবধু ফরিদা খাতুন বলেন, আমি শুধু স্বামীর সাথে সংসার করতে চাই, স্বামীর স্বীকৃতিটুকু চাই। আমাকে ভরণপোষণ যতটুকু পারে দিবে, বাঁকিটা আমি নিজেই চালাবো। আপনারা শুধু আমার সংসারটা ফিরিয়ে দেন। 

আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি যৌতুক নেয়া, গহণা বিক্রি ও চাকরীর বেতনের টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে বনিবনা হয় না, সংসার করাও সম্ভব না, তাই তালাক দিয়েছি। 

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান আছে, তাই বিষয়টি সেখানেই সমাধান হবে। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত