টেকনাফের জাদিমুরা এলাকা থেকে সোমবার অপহৃত ১৯ জন বন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার আগেই আরো ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে গত দুদিনে মোট ২৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুটি অটোরিকশাচালকসহ ৮ জন অপহৃত হয়। অপরদিকে সোমবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার বন বিভাগের বাগানে কাজ করতে গিয়ে অপহৃত ১৯ শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য গহিন পাহাড়ে কাজ করছে র্যাব-১৫-এর একটি দল।
র্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজামান বলেন, ‘র্যাব সদস্যরা সোমবার রাত থেকেই টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুর থেকে গহিন পাহাড়ে র্যবের দল ড্রোন নিয়ে কাজ করছে।’
টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা বলেন, ‘হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কতজন অপহরণ হয়েছেন সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে মঙ্গলবার সকালের অপহরণের ঘটনা নিয়ে শামলাপুর অটোরিকশা (সিএনজি) মালিক-শ্রমিক সমিতির পরিচালক মো. আবদুর রহিম জানিয়েছেন, ডাকাতদলের সদস্যরা অটোরিকশার চালকসহ ৭ জনকে অপহরণ করেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দু'টি অটোরিকশা (সিএনজি) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা অটোরিকশা (সিএনজির) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসেন মেম্বার বলেন, ‘সোমবার রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইলের মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে।’