বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনে জন্য সহনীয় চাপ প্রয়োগ করাই হচ্ছে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি দল ও অঙ্গ-সংগঠনকে সুসংগঠিত করা এবং রাষ্ট্র সংস্কারে ঘোষিত ৩১ দফা ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগ দেবে দলটি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, ২০২৫ সাল বিএনপির বেশি কিছু করা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ও তাদের নীতি কি হয় সেটা পর্যবেক্ষণ রাখা। এক্ষেত্রে সরকার যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে, সেটার সঙ্গে যুক্ত হবে বিএনপির। আর সরকার যদি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তাহলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সহনীয় চাপ প্রয়োগ করা হবে।
তবে, সেক্ষেত্রে সরকার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে জড়াবে না দলটি। অর্থাৎ বক্তব্য, বিবৃতি এবং মাঠ পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে বারবার ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।
নির্বাচনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরিতে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেছিলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে চাই। অনেক সংঘর্ষ হয়েছে, দেশের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতি বাংলাদেশে আর যেন ফিরে না আসে, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেটা সফল হবে, একমাত্র দ্রুত একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। তারা ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, যে সরকার তাদের (জনগণের) কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, তাদের কাছে জবাবদিহি করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। সেটার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনের বাংলাদেশ কোন পথে যাবে বা কীভাবে চলবে। এটার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, খুন, গুম হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে, সরকার নির্বাচন কেন্দ্রীয় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে। জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির একই প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আমাদের সব সময় ৩০০ আসনে ভোটের প্রস্তুতি থাকে। বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা আমাদের জোট সঙ্গীদের কিছু আসনে সমঝোতা হয়েছিল, সেইসব আসনে আমরা প্রার্থী দেয়নি। এবার এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসনের ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের সময় যারা আমাদের সঙ্গে থাকবে তাদের বিষয়ে তখন সিদ্ধান্ত হবে।