মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেছেন, চট্টগ্রামের ফুল উৎসব শুধু চট্টগ্রামবাসীর জন্য নয় সারাদেশের জন্য একটা ব্যতিক্রমী আয়োজন। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা মানুষকে উজ্জীবিত করে। মানুষ প্রফুল্ল হতে পারে এমন সুযোগ এখানে তৈরী করা। এ ধরনের সুযোগ সব জায়গায় তৈরী করা উচিত। দেশের জন্য এটি একটা উদাহরণ হতে পারে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব শনিবার (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে ফুল উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২০২৩ সাল থেকে এনিয়ে তৃতীয়বারের মত শুরু হলো ফুল উৎসব। এ উৎসব চলবে ৪ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মুখলেস উর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, দেশী-বিদেশী ১৩৬ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ফুলের স্বর্গরাজ্য। এবারের উৎসবে রাখা হয়েছে মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলা ও পিঠাপুলি উৎসব, বই মেলা, পুতুল নাচ, লেজার লাইট শো, ভায়োরিন শো, মুভি শো, ঘুড়ি উৎসব, নৌকাবাইস, জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থান কর্ণার, পাবলিক টয়লেট ও চিত্রশিল্পীদের প্রায় ২০০টি চিত্রকর্ম। উৎসবে আসা দর্শনার্থীদের নিজেদের ছবির ক্যারিকেচার আঁকার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ নানা আয়োজন। দর্শকপ্রিয় করতে এই বাগান সাজানো হয়েছে দুবাইয়ের মিরাকল গার্ডেনের আদলে। সাগরপাড়ে ১৯৪ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা ১৩৬ প্রজাতির ফুলের এ বাগান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে সৌরভ। ডিসি পার্কের এ ফুল উৎসব দেখতে চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল প্রেমীদের সমাগম ঘটে এখানে। গতবছর এখানে প্রায় ১০ লাখ দর্শণার্থীর সমাগম ঘটে। এবার ১২ লাখ ফুলপ্রেমীর সমাগমের আশা করছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। টিকিটের মূল্য হবে জনপ্রতি ৫০ টাকা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার পাশা, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শরিফ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আলাউদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমানসহ প্রমুখ।