প্রাণঘাতী করোনার পাঁচ বছর পর চীনে এবার নতুন ভাইরাস হানা দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এমন খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্ব জুড়ে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, চীনের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। মুখে মাস্ক পরে চিন্তিত মুখে বসে রয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
ভিডিওগুলোতে দাবি করা হয়, রোগীদের প্রায় প্রত্যেকেই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এ আক্রান্ত। যদিও সেই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
চীন স্পষ্ট করেছে, এইচএমপিভি নিয়ে চিন্তার মতো কিছু নেই। সরকার পুরো বিষয়টিকে ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। দেশটির বৈদেশিক ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলেছে, সে দেশে ভ্রমণ সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, শীতের মৌসুমে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের প্রবণতা খুব বেশি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি, সরকার চীনে যাওয়া বিদেশিদের স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নশীল।
জেনে নিন লক্ষণ
এইচএমপিভির ভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এখন থেকে প্রায় দুদশক আগে। নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞেরা ২০০১ সালে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রে প্রথম এই ভাইরাসের নমুনা শনাক্ত করেন। তার পর ২৪ বছর কেটে গিয়েছে। তবে সেই ভাইরাসের কোনও টিকাও তৈরি হয়নি।
মেটানিউমোভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি এবং কাশি। খুব কম সংখ্যক রোগী নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হতে পারেন। মৃত্যুর হারও নগণ্য।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেটানিউমোভাইরাস কমপক্ষে ৬০ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বিদ্যমান এবং সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের প্যাথোজেন হিসাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। মূলত শীতকালে এর সংক্রমণ লক্ষ করা যায়।