কার্যালয় ভাঙচুর করায় বরিশালের সকল ফার্মেসি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীতে মাইকিং করে সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। নগরীর কালিবাড়ি রোডে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির দ্বিতল ভবন রাতের আধারে ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট চালানোর ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সন্ধ্যার পর নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্যরা। এসময় তারা কাল সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে কোনো সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান। যতক্ষণ পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বরিশালের সকল ফামের্সি বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সন্ধ্যার পর পরই নগরীর ৫ শতাধিকসহ জেলার কয়েক হাজার ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশালের ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। ওষুধ কিনতে পরছেন না অনেক রোগীর স্বজন। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান করে ওষুধের দোকান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস ছালাম জানান, শনিবার রাতে অভিযুক্ত ইকবাল আজম খান তার লোকজন দিয়ে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভোররাতে ওই ভবন ভাঙচুর শুরু করে। তারা ভবনের দেয়াল থেকে শুরু করে টয়লেট এবং দ্বিতীয় তলার টিনের শেড পর্যন্ত খুলে ফেলে। ভবনে লাগানো দরজা-জানালা-এসিসহ সকল মালামাল খুলে এক জায়গায় স্তূপাকারে রাখা হয়। এসময় নিচতলায় ওষুধের দোকানও ভাঙচুর করা হয়। এতে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।