টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে সর্বোচ্চ গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের রিপোর্ট ভালো হলে খুব শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে জানিয়েছেন রেলসেতু কর্তৃপক্ষ।
ডাবল লাইনের যমুনা রেলওয়ে সেতুতে টানা দুইদিন সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে ট্রেন। সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেনটি আড়াই মিনিটে ৪.৮ কিলোমিটার রেলসেতুটি পাড় হয়।
গত রবিবার ও সোমবার ৪০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে ১২০ কিলোমিটার গতিতে যমুনা পূর্বপাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে এবং পশ্চিমপাড় থেকে পুনরায় পূর্ব পাড়ে চলে আসে ট্রেন। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছিল। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ইন্সপেক্টর ফরিদ আহম্মেদ, রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান সহ রেলসেতু কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে ২০২১ সালের ২১ মার্চ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যমুনা নদীর উপর নির্মিত ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
রেলসেতুতে দীর্ঘদিন কাজ করার পর নিজের চোখে সেতু দিয়ে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলাচল দেখে খুশি সেতুটির নির্মাণ শ্রমিকরা। সেই সাথে এতবড় প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে নিজেদেরকে গর্ববোধ মনে করছেন তারা।
রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
জেনারেল ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশ রেলওয়ে ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ট্রেন চলাচলের জন্য পরীক্ষামূলক পরিদর্শন ও কিছু টেস্ট করা হয়েছে এবং কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সব কিছু সম্পন্ন হলে বাণিজ্যিকভাবে দূত ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।