চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে কোনো মেশিন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এ সমস্যা সাময়িক। আসলে এমন কোনো আলাদিনের চেরাগতো নেই যে, সুইচ দিলেন আর কালকেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তুরস্ক দেশের অবকাঠামো খাত, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে তুরস্ক বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশটি বাণিজ্য ভিত্তিক সামরিক খাতেও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমদানি উদার করা হয়েছে। শুল্ক ৬৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমদানি শুরু হলেই যদি কেউ অনায্যভাবে মজুদ করে থাকে তাহলে তারাও ছাড়তে বাধ্য হবে। বাজারেও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
এ সময়ের মধ্যেইতো অসাধু ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে বিষয়টি সাময়িক। কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে, আপনি সুইচ দিলেন আর কালকেই মার্কেটটা ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, চালের মজুদে কোনো সমস্যা নেই। তারপরও খাদ্য মন্ত্রণালয় ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানি করছে। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।