জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ তার হতাশায় ভোগার কথা বলছে। তাদের ভাষ্যমতে হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন আল–আমিন। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, হতাশায় থাকার তথ্য তারা জানতেন না। পরিবার নিয়ে সুখেই ছিলেন আল–আমিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফ উজ জামান বলেন, আমরা জেনেছি ওসি আল–আমিন কোনো একটি বিষয় নিয়ে হতাশায় ভুগতেন। তিনি থানা ভবনের যে কক্ষে থাকতেন, সেই কক্ষে আমরা কিছু ওষুধ পেয়েছি, যা হতাশা কাটানোর জন্য খাওয়া হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধরে নিয়েছি।
অপরদিকে, ওসি আল–আমিনের স্বজনরা এমন কোনো হতাশার কথা জানেন না দাবি করে তার ভায়রা (স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী) আবদুর রব বাবুল বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর প্রথমে পুলিশ আমাদেরকে লাশের কাছে যেতে দেয়নি। পরে দেখেছি, ঘরের জানালার সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় আল–আমিনের দেহ ঝুলছে। আসলে কী ঘটেছে, তা আমরাও বুঝতে পারছি না। এখানে এসে পুলিশের কাছে শুনলাম, সে হতাশায় ভুগত। তার হতাশায় ভোগার তথ্য আমাদের কারো কাছে ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী–সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন। কয়েক দিন আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে জাজিরায় কিছুদিন বেড়িয়েও এসেছেন।
নিহত ওসি আল-আমিনের ভাই আবুল কালাম বলেন, ভাইর মৃত্যুতে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আমাদের জানামতে তার পারিবারিক কোনো চাপ ছিল না। ভাইর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই।