শ্রীপুরে সহকর্মীকে মুক্ত করতে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে পোশাক শ্রমিকের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা করার পরপরই শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কর জানান।
আসামিরা হলেন- শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণ খণ্ড এলাকার আশরাফুল ইসলাম (২৯), উপজেলার কাওরাইদ (মোড়লপাড়া) এলাকার সাগর (২৫), কেওয়া দক্ষিণ খণ্ড (গারোপাড়া) এলাকার ইয়াসিন (২৪), নেত্রকোণা সদর উপজেলার হাটখোলা বাজার এলাকার মনিরুল ইসলাম নিরব (১৮) এবং তাদের সহযোগী অজ্ঞাত তিনজন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার কাওরাইদ (মোড়লপাড়া) এলাকার সাগর (২৫), শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণ খণ্ড এলাকার আশরাফুল ইসলাম (২৯) এবং নেত্রকোণা সদর উপজেলার হাটখোলা বাজার এলাকার মনিরুল ইসলাম নিরব (১৮)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পোশাক শ্রমিক নাজমুল হক (২৭) টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা এলাকার মাহমুদল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ইশরাক স্পিনিং মিলে চাকরি করেন।
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ঐ নারী মামলার এজাহারে বলেন, নাজমুল হক ও তিনি একই কারখানায় চাকরি করেন। বুধবার বাদী বাসায় ছিলেন। ওইদিন বিকাল ৩টায় নাজমুল ফোন দিয়ে তার সমস্যার কথা জানিয়ে ফখরউদ্দিন কারখানার মোড়ে বটগাছের নিচে যেতে বলেন। তার ফোন পেয়ে যেখানে যাওয়া মাত্রই আসামি সাগর বাদীর পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর সাগর বাদীকে ফখরউদ্দিন প্রিন্ট কারখানার গেইট সংলগ্ন স্থানীয় নজরুলের বাসায় নিয়ে যান।
বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, সহকর্মী নাজমুলকে আসামিরা মারধর করছে। পরে তিনি মারধর করতে নিষেধ করে নাজমুলকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু যুবকরা বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে রাজি না হলে ওই নারীকে পাশের কক্ষে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসামি আশরাফুল ও সাগর জোর করে পালাক্রমে ধষর্ণ করেন। তারা বেরিয়ে গেলে অজ্ঞাত তিন আসামি ঘরে ঢুকে আবারো ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, পরে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আমার মোবাইল ফোন রেখে মনিরুল ইসলাম নিরব একটি অটোরিকশা ভাড়া করে দিলে আমি বাসায় ফিরি। ঘটনাটি জানিয়ে স্বামী ও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে শনিবার থানায় মামলা দায়ের করি।