নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, সিগারেটের ওপর আরোপিত কর হওয়া উচিত ৭৫ শতাংশ; আমাদের দেশে যা ইতিমধ্যেই অতিক্রম করে গেছে—এ অধ্যাদেশের পর তা বেড়ে দাঁড়াল ৮৩ শতাংশ।
কোন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম কত বাড়ল?
খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম ছিল ১৮ টাকা; তা এখন ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গোল্ডলিফ ব্র্যান্ডের প্রতিটি শলাকার দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
২ টাকা বেড়ে প্রতি শলাকা লাকি সিগারেটের দাম ১২ টাকা এবং স্টার ব্র্যান্ডের সিগারেট ১০ টাকা হয়েছে।
এ ছাড়া ডার্বি, পাইলট, হলিউডের দাম এখন ৮ টাকা এবং রয়্যালসের দাম ৭ টাকা; এসব সিগারেটের দাম বেড়েছে ১ টাকা।
কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, কোম্পানিগুলো সিগারেটের দাম বাড়িয়েছে, তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা খুব একটা কমেনি।
সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোও পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের দাম ৩৭০ টাকা; জন প্লেয়ার গোল্ডলিফ ২৮০ টাকা; লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা; স্টার ১৭২ টাকা; পাইলট, ডার্বি স্টাইল, হলিউড ১৪৪ টাকা; রয়্যালস ১২৬ টাকা। ২০ শলাকার প্যাকেটের প্রতিটি ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মনে করি, আকস্মিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত ছিল, সব অংশীজনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা।