গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় খেলা ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। নড়াইলে উৎসবমুখর পরিবেশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে তিন দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় শিশুদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে নানা পণ্য সামগ্রী ও খাবারের দোকান বসতে দেখা যায়। রঙিন বেলুন হাতে শিশুদের মাতামাতিও ছিলো লক্ষণীয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।
দর্শনার্থীরা জানান, বহু বছর ধরে চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মনে আনন্দ-উল্লাস সৃষ্টি হয়। প্রতিটা বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা হতে আত্মীয় স্বজনে ভরে যায়। এক অন্যরকম অনন্দমুখর পরিবেশে এ মেলা পালিত হয়।
ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া দাবড়াইতে তাদের অনেক খরচ হয়। কোথাও পুরষ্কার পান আবার কোথাও পান না। কিন্ত তারপরও তারা আনন্দের জন্য অনেক জায়গা ঘোড়া দাবড়াতে জান তারা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৩২ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী থেকে আসা রাব্বি ইসলামের ঘোড়া, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ঘোড়াটি দ্বিতীয়, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুরের নিছার আলীর ঘোড়াটি তৃতীয় এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী এলাকার রাসেলের ঘোড়াটি চতুর্থ হয়েছে। যথাক্রমে তাদের দশ হাজার, সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসরাত বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এই আয়োজন। যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আরো সুন্দর করে পালন করতে পারে পারে।