শিল্প নগরী টঙ্গীতে ঝুট ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়। বুধবার সকাল দশটার দিকে টঙ্গীর পাগার সোসাইটি মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। আহতরা হলেন, মিলন, মনোয়ার, জাফর, নুর নবী হায়দার ও পথচারী রফিক।
এলাকাবাসী জানায়, পাগার সোসাইটি মাঠ এলাকার উইন্ডি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেডের বর্জিত ঝুট মালামাল ডেলিভারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের অনুসারীদের সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতা রয়েল হায়দারের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে হাসান উদ্দিন সরকার অনুসারী জনি গ্রুপের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এসময় এক রাউন্ড গুলি ও ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
তবে স্থানীয়দের দাবী জনি গ্রুপের সাথে থাকা বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বেশীর ভাগ অস্ত্রধারী ছিলেন। পরে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার নামে কারখানার বর্জিত মালামালের চুক্তি হওয়ায় তারা মালামাল নিয়ে গেছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাজমুল মন্ডল বলেন, স্থানীয় বিএনপির কর্মী হিসেবে আমার এলাকার লোকজন প্রতিষ্ঠানের বর্জিত মালামাল কিনতে গেলে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুড়ি ও চাপাতি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের সাথে কিছু বিএনপি কর্মীও হামলায় অংশ নেয়। এতে আমাদের এলাকার চার জন বিএনপি কর্মী ও এক পথচারী আহত হয়।
এ বিষয়ে জনি গ্রুপের জনি কিবরিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার ব্যবসায়িক বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতা গাজী মোশারফ হোসেনকে কারখানার যাবতীয় বর্জিত মালামালের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, কারখানার ঝুট নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই।