সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল সদর দপ্তরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এটি বহু বছর পর ইসলামাবাদে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম কোনো সফর।
সফরের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল সদর দপ্তর (জিএইচকিউ) পরিদর্শন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলটি।
পাকিস্তানভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদলের এই সফরকে ‘বিরল’ সফর বলে আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থবির ছিল, হাসিনা বারবার পাকিস্তানের শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু তার উৎখাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি উভয় পক্ষই তাদের যোগাযোগ বাড়িয়েছে এবং সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য গত কয়েক মাসে শীর্ষ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে। এরপর একজন সিনিয়র জেনারেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদলের এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের আরেকটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মধ্যে বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, উভয় জেনারেলই একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা বহিরাগত প্রভাব থেকে প্রতিরোধ থাকার ওপর জোর দেয়।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচারের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় উভয় দেশ যৌথ প্রতিরক্ষা উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।