বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ আঠারো বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়োগ হয়নি কোনো ইমাম। এতে শিক্ষার্থীরা ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পাশাপাশি মসজিদের খাদেমকে ইমামতি করানোর ফলে কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ না থাকায় এবং দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের ইমাম নিয়োগ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অবিলম্বে ইমাম নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সাপ্তাহিক জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের “ চির উন্নত মম শির” এর সামনে ইমাম নিয়োগের জন্য মানব বন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি উপস্হাপন করেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত দাবি সমূহ হলো-দ্রুত থেকে দ্রুততম সময়ে ইমাম নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত ইমাম নিয়োগ না হয় ততদিন পর্যন্ত খন্ডকালীন ইমামের ব্যবস্থা করতে হবে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সাথে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হতে হবে,নিয়োগ বোর্ডে বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোঃ ইউসুফ কে রাখতে হবে,চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে বাছাইকৃত আলেমদের মসজিদে নামাজ পড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করতে হবে, যদি আবেদনকৃত প্রার্থীদের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন ইমাম না পাওয়া যায় তাহলে পুনরায় সার্কুলার প্রকাশ করে যোগ্যতা সম্পন্ন ইমাম নিয়োগ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ থাকার কারণে এবিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
এ নিয়ে ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তকিব হাসান বলেন, আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছি—মসজিদে একজন যোগ্য ইমাম বা শায়েখ নিয়োগের। বর্তমানে খুতবার মান শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না, যা ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক যোগ্য শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁরা আলেম এবং ইসলামি জ্ঞানসম্পন্ন। আমরা চাই, একজন যোগ্য ও দক্ষ ইমাম নিয়োগ দিয়ে মসজিদকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত দাবিগুলো যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিতে বাধ্য হবে বলে জানানো হয়।